প্রতিবছর বর্ষা এলেই যে রোগ নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তা হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর- সতর্ক থাকুন জানালেন ভেক্টর স্পেশালিস্ট ডঃ অমিতাভ নন্দী

 

Image result for picture of mosquito

বর্ষাকাল এলে সর্দিকাশি জ্বরের পাশাপাশি দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়ায় মশাবাহিত রোগ। প্রতিবছর বর্ষা এলেই যে রোগ নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তা হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর। জীবাণুযুক্ত এডিস মশার এই জ্বর হয়ে থাকে। প্রথম এক বা দুদিন শরীর ম্যাজম্যাজ করে ও মাথাব্যথা হয়ে থাকে। এরপরই প্রচণ্ড জ্বর, পিঠে ব্যথা, মাথাব্যথা, সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা, চোখের নড়াচড়ায় ব্যাথা ও জল পড়া, খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাওয়া, বমি বমি ভাব,  বিষণ্ণতা ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। জ্বর সাধারণত একটানা ৭-৮ দিন পর্যন্ত চলতে থাকে। তবে চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে কিছুটা কমতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে শরীরে এক ধরনের র‌্যাশ হয়ে থাকে। জ্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে র‌্যাশ হয়ে তা মিলিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে তৃতীয় থেকে পঞ্চম দিনে পুনরায় র‌্যাশ হতে থাকে যা হাত ও পায়ের তালু ছাড়া পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া ডেঙ্গু জ্বরের মারাত্মক লক্ষণটি হচ্ছে রক্তক্ষরণ। শরীরের বিভিন্ন জায়গা বিশেষ করে ত্বক, নাক, মাড়ি, পাকস্থলী বা পেটের অন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

কি করণীয়

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। জ্বর, শরীর ও মাথাব্যথার জন্য প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে। তবে এসপিরিন দেওয়া যাবে না। প্রচুর জল ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। রক্তক্ষরণের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

সতর্কতা

. বাড়ি, অফিস বা প্রতিষ্ঠানের আশপাশ পরিস্কার রাখতে হবে। ফুলের টব, টায়ার, ড্রাম বা কোনো পাত্রে যেন জল জমে না থাকতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

. ঘুমনোর সময় মশারি টাঙিয়ে শোওয়া দরকার।

. সবসময় গা ঢাকা জামা, প্যান্ট, পা ঢাকা জুতো পরুন।

. মশা মারার কয়েল কিংবা মশা নিরোধক মলম ব্যবহার করুন।