‘হাই ব্লাড সুগার’ বা রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি! কীভাবে বুঝবেন…

রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি

ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস, আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে গ্লাকোজের(চিনির) পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে একরকম লক্ষণ, আবার হ্রাস পেলে একরকম লক্ষণ। এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা থেকে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে আসুন জেনে নিই।

রক্তে শর্করা জনিত সমস্যাকে সাধারণত সুগার হিসাবে বলে থাকি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি জনিত সমস্যাই দেখা যায়। বর্তমানে আমাদের লাইফস্টাইল, খাওয়া-দাওয়ার অনিয়মের ফলে সুগারের সমস্যা যে কারোর ক্ষেত্রেই খুব কমন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি বাচ্চা থেকে কমবয়সী টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ২০২০-অফিসের কাজ করতে করতেই করুন এই পাঁচটি সহজ যোগাসন

.টাইপ-২ ডায়াবেটিস কী?

টাইপ ২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষ সঠিকভাবে ইনসুলিন তৈরি বা ব্যবহার করতে পারে না। ইনসুলিন হরমোন যা কোষে রক্তের গ্লুকোজ (চিনি) চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তের গ্লুকোজ শরীরের শক্তির উৎস এবং খাদ্য থেকে আসে। যখন চিনি কোষে প্রবেশ করতে পারে না, তখন এটি বেড়ে যায় এবং শরীর শক্তিতে এটি নির্ভর করতে পারে না। শরীর যদি গ্লুকোজ না পায় তবে ডায়াবেটিসের লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পায়। একে টাইপ-২ ডায়াবেটিস বলে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে কী কী লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে…

. যখন রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যায় তা অনেকটা সময় বেড়েই থাকে। তাই সুগার লেভেল বাড়লে ওজন কমে যাওয়া এবং ঘন ঘন খিদে পাওয়া কমন লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম। আপনি অনেকটা খাচ্ছেন, ঘন ঘন খিদে পাচ্ছে অথচ ওজন কমে যাচ্ছে, ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম।

. রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বারে বারে জল খাওয়ার ইচ্ছা হতে পারে আপানার। এমন একটা অনুভূতি যেন তৃষ্ণা মিটছে না। অথচ অনেকটা জল খাচ্ছেন। ফলে অনেকবার প্রসাবে যাওয়ার প্রবণতা। যা ডায়াবেটিসের অন্যতম লক্ষণ। এমনও হয়, অতিরিক্ত জল খেলেও প্রসাবের পরিমান বাড়ে না, কিন্তু প্রসাব পাওয়ার অনুভূতি হয়। এইসব ক্ষেত্রে আপনার শরীরে যতটুকু জলের প্রয়োজন ততটুকুই পান করা উচিত। যাতে শরীর ডিহাইড্রেটেড্ বা শুষ্ক হয়ে না যায়। এমনিতেই ডায়াবেটিসের রোগীরা রাত্রে অনেকবার টয়লেটে যান প্রসাবের জন্য।

আরও পড়ুন: করোনা থেকে ক্যান্সার, প্রতিরোধে খান এই ফল

.রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে অনেক সময় হাত-পা অসাড় হয়ে যেতে পারে। চলাফেরা করার শক্তি এতটাই কমে যায় যে পিঁপড়ের গতিকেও হার মানায়। অনেকের ক্ষেত্রে শ্রবণ শক্তিও হ্রাস পায়।

. রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া অন্যতম আরও একটি লক্ষণ। সারাদিন ক্লান্তির অনুভূতি। খাওয়া-দাওয়া করলে, ঘুমালেও যেন সেই ক্লান্তি কাটে না।

এরকম লক্ষণ যাদের মধ্যে রয়েছে তাদের কী করণীয়?

উপরের লক্ষণগুলির মধ্যে যেকোনও একটা আপনার থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষত যদি ক্লান্তির অনুভূতি থাকে তবে অবশ্যই আগে থেকে সতর্ক হোন। মনে রাখবেন ঠিকঠাক ডায়েট, ব্যায়াম এবং চিকিৎসকের উপযুক্ত পরামর্শে ডায়াবেটিসেও ভালো থাকটা এখন খুব শক্ত ব্যপার নয়।