শীতকালের খাদ্য, থাকুন ফিট
শীতকাল মানেই গরম জামাকাপড়, গরম খাবারদাবার, গরম জল। শীতকালে শরীরেরও নানা পরিবর্তন ঘটে। বিপাক এবং এনার্জি লেভেলেরও পরিবর্তন ঘটে। তারই সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খাদ্যতালিকারও পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। শীতকালে সাধারণত বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে। ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাছাড়াও ঠান্ডা লেগে যাওয়ার মতো সমস্যাও তৈরি হয় যখনতখন। এই সাতটি খাবার যদি আপনি আপনার ডায়েটে রাখেন তাহলেই সব সমস্যার সমাধান। একেবারে ম্যাজিকের মতো কাজ দেবে, শরীর থাকবে একেবারে ফিট।
. মিষ্টি আলু বা রাঙা আলু
সাধারণ আলুর তুলনায় মিষ্টি আলু বা রাঙা আলুতে থাকে অনেক বেশি পরিমানে স্টার্চ। ফাইবার সমৃদ্ধ রাঙা আলুতে আছে ভিটামিন এ এবং পটাসিয়াম। মিষ্টি আলু রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা যেমন বাড়ায় তেমনিই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। যেকোনও রকমের প্রদাহ রোধ করে।
. ওল কপি
ওলকপিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস্ যা ক্যানসার রোধ করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন কে এবং এর পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ। যা হার্টকে ভালো রাখে, হাড়ের স্ট্রেন্থ বাড়ায়, হজমের সমস্যা দূর করে।
আরও পড়ুন: ৪টি লক্ষণ বলে দেবে আপনার রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি না দুর্বল
. খেজুর
খেজুরে আছে প্রচুর পরিমানে আয়রন, প্রোটিন, ক্যালিসিয়াম এবং আরও অনেক ভিটামিন যা শীতকালে শরীর ভালো রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। যেহেতু শীতকালে ঠান্ডা লেগে নানা সমস্যা হয়, তাই প্রতিদিন ডায়েটে রাখুন খেজুর।
. বাদাম
কাঠবাদাম এবং আখরোট খুবই উপকারী শীতকালে। এতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ওমেগা ফ্যাট। যা শাতকালে নার্ভাস সিস্টেমকে ভালো রাখে, ইনসুলিন সেনসিভিটি বাড়ায় এবম হার্ট ভালো রাখে।
আরও পড়ুন: বাতাসে করোনা! WHO-এর নতুন গাইডলাইন
. ওটস্
ব্রেকফাস্টে অবশ্যই রাখুন ওটস্। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে জিঙ্ক। যা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আর রয়েছে ফাইবার। যা হার্টকে ভালো রাথে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। শীতকালে সাধারণত জল খাওয়া কমে যাওয়ার জন্য কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই গরম ওটস্ পোররিজ খেতে পারেন।
. ব্রোকলি এবং ফুলকপি
ব্রোকলি এবং ফুলকপিতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। যা শীতকালে ঠান্ডা লেগে হওয়া নানান সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে এবং আপনাকে অনেক বেশি সক্রিয় রাখে।
Recent Comments