৪টি লক্ষণ বলে দেবে আপনার রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি না দুর্বল

করোনার যম রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা

আমরা সকলেই জানি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম (Immune System) আমাদের শরীরকে যাবতীয় রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। বিশেষত করোনা কালে আমরা বুঝে গিয়েছি করোনা থেকে বাঁচতে হলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি তাদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অনেক কম। শুধু করোনা ভাইরাসই নয় বিভিন্ন প্রকারের রোগজীবাণু থেকে আমাদের রক্ষা করে আমাদের ইমিউনিটি পাওয়ার।

মানসিক চাপ, চিন্তা, অতিরিক্ত পরিমানে মদ্যপান আপনার ইমিউনিটি পাওয়ার কমিয়ে দেয়। পরিসংখ্যান বলছে যাদের কম ইমিউনিটি পাওয়ার তারাই করোনা ভাইরাসে খুব খারাপ আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। কীভাবে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বা ইমিউনিটি পাওয়ার বেশি না কম? এই চারটি খুব লহজ লক্ষণ দেখে আপনি নিজেই নিজের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা পরীক্ষা করুন।

১) প্রায়ই অসুস্থ হওয়া এবং তা কমতে সময় নেওয়া

তারা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন যাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কম।ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সহ বিভিন্ন রোগ জীবাণু প্রতিরোধ করতে পারে না কম ইমিউনিটি পাওয়ার বিশিষ্ট মানুষের শরীর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক বছরে তিনবার বা তার বেশি যারা সর্দি, কাশি, জ্বর অর্থাৎ ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যায় ভোগেন এবং তা কমতে অনেকটা সময় নেয়, তাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কম। একই রকমভাবে কোনও রকম কাঁটাছেড়া যদি শুকোতে অনেকটা সময় নেয় তাহলেও আপনার ইমিউনিটি পাওয়ার কম।

আরও পড়ুন: বর্ষাকালের ডায়েট! খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন এই তিনটি খাবার…

আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ্ অ্যালার্জি অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজি- এর সমীক্ষায় প্রকাশ যদি কারোর বছরে অন্তত দু-বার অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন পড়ে, সাধারণ সংক্রমণ যাদের ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে, তাদের ইমিউনিটি পাওয়ার বা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ খুবই প্রয়োজন।

২) সর্বক্ষণ ক্লান্তি বোধ হওয়া

অনেকটা বেশি ঘুমোনোর পরও আপনার যদি মনে হয় আপনি আরও ঘুমোবেন বা ক্লান্ত লাগছে, তাহলে আপনার ইমিউনিটি পাওয়ার কম। কম ইমিউনিটি পাওয়ার যাদের, তাদের শরীরকে সাধারণের তুলনায় অনেক বেশি শক্তি খরচ করতে হয় শরীর ঠিক রাখতে, যেকোনও সাধারণ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। ফলে সর্বক্ষণ ক্লান্তি বোধ হয়।

আরও পড়ুন: ‘হাই ব্লাড সুগার’ বা রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি! কীভাবে বুঝবেন…

৩) ঘনঘন পেটের সমস্যা

অন্ত্র, পাকস্থলীর বন্ধু ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবডি তৈরি করে সংক্রমণকে রুখে দেয়। খাবার হজমের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নেয় এই ব্যাকটেরিয়া। তাই পেটের নানা সমস্যা যেমন ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য- এর মতো সমস্যায় যারা বেশি ভোগেন, বিশেষজ্ঞদের মতে তারা কম ইমিউনিটি পাওয়ার সম্পন্ন।

৪) মুখে ঘা হওয়া

ঘনঘন মুখে ঘা হওয়াও কম ইমিউনিটি পাওয়ারের অন্যতম লক্ষণ। জিভ অথবা গাল অনেক সময় খেতে খেতে কামড়ে ফেলি আমরা। তাও ইমিউনিটি পাওয়ার সম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে ঘা- এর আকার নেয়। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে মুখে ঘা হতে পারে। তাও কম রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতারই লক্ষণ।