আসুন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, থ্যালাসেমিয়া মুক্ত পৃথিবী গড়ে তুলি- সঞ্জীব আচার্য্য, চেয়ারম্যান, সেরাম গ্রুপ

থ্যালাসেমিয়া কি?

থ্যালাসেমিয়া একটি জিন ঘটিত বংশগত রোগ। মূলতঃ থ্যালাসেমিয়া রোগীর অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন থাকার জন্য অক্সিজেন বহন করতে পারে না, যেটা এই রোগের জটিলতা। কিন্তু এটা সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ নয়।

থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ কি?

যখন কোনও একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক আর একজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করেন তখনই তাদের সন্তানদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু থ্যালাসেমিয়া বাহক কোনও অসুখ নয়। থ্যালাসেমিয়া বাহকরা সম্পূর্ণ সুস্থ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ

ক) রক্তে হিমোগ্লবিনের পরিমাণ কমে যায়।
খ) বয়স অনুযায়ী বাচ্চার বৃদ্ধি হয় না।
গ) প্লীহার বৃদ্ধি ঘটে, ফলে পেট দেহের তুলনায় বেড়ে যায়।

থ্যালাসেমিয়া রক্ত পরীক্ষা কথন করা উচিত?

প্রাক-বিবাহ যেকোনও বয়সেই থ্যালাসেমিয়া বাহক রক্ত পরীক্ষা করা যায়। শুধুমাত্র একবছর বয়সের পূর্বে কোনো শিসুর থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করা মূল্যহীন। এই রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত

ক) বিবাহের সন্ধিক্ষণে।
খ) বিবাহ পরবর্তী সন্তানধারণের পূর্বে।

তবে সবচেয়ে ভালো ছাত্রাবস্থায় এই পরীক্ষা করানো।

থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধের সহজতম উপায়ঃ

মনে রাখবেন দুজন থ্যালাসেমিয়া বাহকের মধ্যে বিয়ে না হলেই পরবর্তী প্রজন্মকে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত রাখা যায়। আর থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ধারণের জন্যই প্রয়োজন রক্ত পরীক্ষার।