লকডাউনে মদ্যপান বাড়িয়ে দিয়েছেন?সামলে, বেসামাল হলেই সব শেষ…

মুক্তির আনন্দ না বিষের বিপদ!

করোনায় সুরা বিপদ

করোনাভাইরাসের জন্য ঘর থেকে বেরোনো নিষেধ। লকডাউনে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠার জোগাড়। নানা বিধিনিষেধের মধ্যেও অনেকেই খানিকটা মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন মদের দোকান খুলে যাওয়ার। তড়িঘড়ি লাইনেও দাঁড়িয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ তো আবার বাড়িতে স্টক করে রাখছেন। ভয়,যদি আবার বন্ধ করে দেয়! তাহলে তো বিপদ!

করোনাভাইরাস মারতে অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলার পর সে কী কান্ডই না ঘটেছে। কেউ কেউ তো এও বলে ফেললেন অ্যালকোহল খেলে নাকি করোনাভাইরাস দেহে প্রবেশ করবে না। তাই যত পাও, তত খাও। পরে অবশ্য বেদম বকা খেয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা এই তথ্যকে একদম ভুল বলে নাকচ করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুনপ্রতিদিন খান এই সবজি, থাকুন রোগমুক্ত

সুরাপ্রেমীদের কবেই বা অজুহাত কম পড়িয়াছে। সুরারসে মনপ্রাণ ভরাতে কোনও কারণও লাগে না তাদের। তবে হ্যা, লকডাউনে যেহেতু সকলেই ঘরেই রয়েছেন, তাই হতাশা কাটাতেই বলুন বা সময় কাটাতে, মন ভালো রাখতে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন মদ খাওয়ার পরিমান। আর তাতেই বিপদ বলছেন গবেষকরা। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন করোনা অতিমারীতে না আবার দ্বিতীয় বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এই অতিমাত্রায় সুরাপান।

পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, অনেককেই লকডাউনে অনেকেই পরিবার পরিজন থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। অনেকের আবার চাকরি যাওয়ার ভয়। দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকাতে হতাশাও গ্রাস করছে মানুষকে। ফলে আতঙ্ক, উদ্বেগ, হতাশা থেকে মুক্তির উপায় হিসাবে মদ খাওয়ার পরিমান বাড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। যা শারীরিক সমস্যা তেরি করতে পারে।

আরওপড়ুন: করোনার মোক্ষম দাওয়াই, প্রতিদিন খেলুন এই খেলা

আরও আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন গবেষকরা। যারা মদে আসক্ত, যাদের চিকিৎসা চলছে তাদের চিকিৎসা তো হচ্ছেই না, বরং বেড়ে গিয়েছে মদ খাওয়ার পরিমান। যা তাদের প্রাণহানিও ঘটাতে পারে। আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।

তাই সুস্থ থাকতে মদ কম পান করুন পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এর ফলে আপনি শুধু এখনই ভালো থাকবেন না, অনেকদিন পর্যন্ত সুস্থ থাকবেন।